তিতাস প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পরিত্যক্ত বোতল কুড়ানোর অপরাধে মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে নারিকেলগাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সাহাবৃদ্ধি গ্রামের ফজুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী আল আমিনের মা মোসা. রহিমা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিবন্ধী, তার কার্ডও আছে। তার নেশা বোতল টোকানো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফজুল হকের বাড়িতে গিয়ে নাকি বোতল টোকায়। এ কারণে ফজুল হকের স্ত্রী খোরশেদা বেগম, তার ছেলে জিলানী, রফিকুল ও মেয়ে রুজিনা মিলে আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে নারকেলগাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, আমি সঠিক বিচার চাই।’ এই কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এদিকে মারধরের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত রহিমা আক্তার বলেন, ‘আল আমিনের বাবা-মা আমাদের বলেছে বাড়িতে আসলে বাইন্ধা রাখতে। আমরা তাই করেছি।’
মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবৃদ্ধি গ্রামের বাসিন্দা মো. মোস্তাক ভূইয়া বলেন, ‘আল আমিন একজন প্রতিবন্ধী। তার প্রতিবন্ধী কার্ডও আছে। তার নেশা হলো বোতল টোকানো। যেভাবে তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে, তা অমানবিক কাজ করেছে। আমি উভয়কে বলেছি গ্রামবাসীকে নিয়ে সঠিক বিচার করে দেব।’
এ নিয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ‘প্রতিবন্ধীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page